সুদী সমাজে লক্ষ্মী ও সরস্বতী উভয়ের আশীর্বাদ: ডাঃ পাঠক
মীনাক্ষী চৌধুরী
নয়াদিল্লি, মার্চ 6, 2023। (এজেন্সি) সুপরিচিত সিনিয়র সাংবাদিক ডঃ সমরেন্দ্র পাঠক গতকাল বলেছেন যে সুদী সমাজ আগে শুধু লক্ষ্মীর আশীর্বাদ ছিল, কিন্তু এখন সরস্বতীও আশীর্বাদ করছে। এই কারণেই এই সমাজ আজ মানুষ। শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে এটা আনন্দের বিষয়।
সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি ড. পাঠক সোসাইটি আয়োজিত হোলি মিলন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, গত দুই-তিন দশকে অনেক পরিবর্তন এসেছে এবং সমাজের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসার পাশাপাশি শিক্ষা।
ডাঃ পাঠক বলেন, এই সমাজের পূর্বপুরুষেরা ইতিমধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহ বাড়িয়ে অনেক স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।আজ এই সমাজের অনেক মানুষ বিশেষ পদে রয়েছে।রাজনীতির প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি সামাজিক শক্তির লক্ষণ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সর্বভারতীয় সুদী সমাজ, পাটনার সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সুন্দর প্রসাদ বলেন, এটা সত্য যে শিক্ষার প্রতি সমাজের মানুষের ঝোঁক বেড়েছে।বিশেষ করে বিগত সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দুই দশক।তিনি বলেন, সমাজের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চ পদে যেতে তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মিঃ প্রসাদ, যিনি বিহার সরকারে নিযুক্ত ছিলেন, বলেছিলেন যে পূর্ববর্তী সময়ে, সমাজের লোকেরা নির্দিষ্ট কারণে শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াতে পারত না।
সভাপতিত্বকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রঞ্জন কুমার বলেন, হোলিকে হিন্দি নববর্ষের সূচনা বলে মনে করা হয়।এই উপলক্ষে মানুষ পারস্পরিক তিক্ততা ভুলে ভ্রাতৃত্বের বার্তা দেয়।
দিল্লি সুদি সমাজের নেতা শ্রী কুমার বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ দিল্লিতে সুদি ভবন চার তলা করা হবে, যেখানে দুই তলা হবে আইএএস-এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শিশুদের জন্য। এখন থেকেই এই মিশনের সাথে জড়িত।
সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অরুণ পাঞ্জিয়ার বলেন, সংগঠনটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও গত দুই বছরে পারস্পরিক সমন্বয় তিক্ততায় পরিণত হয়েছে, তা দূর করা প্রয়োজন।
প্রখ্যাত শিল্পপতি প্রকাশ মন্ডল প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সর্বাত্মক অবদানের আশ্বাস দেন।অ্যাডভোকেট নীলম কুমারী, সাংবাদিক বেদ প্রকাশ, সন্তোষ কুমার, বিজেন্দ্র গুপ্ত, সুনীল কুমার, ওম প্রকাশ পাঞ্জিয়ার, রাজেশ কুমার, জওহরজি ও হীরা লাল প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিথিলাঞ্চলের বিখ্যাত সমাজকর্মী ও অমরেন্দ্র ফাউন্ডেশনের প্রধান অমরেন্দ্র পাঠক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কেশব চৌধুরী, বিহার নিষাদ সমাজের রাজু ভাই।
What's Your Reaction?