দিল্লির সর্বত্র আবর্জনার স্তূপ, মানুষ বিরক্ত
ডাঃ সমরেন্দ্র পাঠক
নয়াদিল্লি, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩রাজধানী দিল্লির অনেক এলাকায় পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ চেষ্টার পরেও সর্বত্র আবর্জনার স্তূপ। বিশেষ করে আবর্জনা ঘরগুলির চারপাশের অবস্থা খুবই খারাপ। নিগমের আধিকারিকদের কাছেও প্রতিদিন অভিযোগ করা হচ্ছে।
বিশেষ করে পূর্ব দিল্লির কিছু এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। ঘনবসতিপূর্ণ সিলামপুর, জাফরাবাদ, গোকালপুরী, সীমাপুরী ইত্যাদির অবস্থা খুবই খারাপ। লক্ষ্মীনগর, পাণ্ডবনগর, নিউ অশোকনগর ইত্যাদির অবস্থাও ভালো নয়। যানবাহন আসে কিন্তু আবর্জনা বাড়ির চারপাশের অবস্থা খুবই খারাপ।
সিলামপুর ২২৫ নং ওয়ার্ডের কর্পোরেটর বেগম শাকিলা আফজাল জানান, এ ব্যাপারে তিনি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন।এর আগে কর্পোরেশনের কর্মীরা আবর্জনা অপসারণের দায়িত্ব পালন করত।তাদের অবহেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও। এখন এই দায়িত্ব একটি বেসরকারি কোম্পানির কাছে।
বেগম শাকিলা জানান, তার ওয়ার্ডের অবস্থা আরও করুণ।কারণ এটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ও নির্মাণ কাজের কারণে জনগণকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়।তিনি প্রতিদিন কর্পোরেশনের কাছে এসব সমস্যার অভিযোগ করেন। এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে
সকল পৌর কর্পোরেশন স্যানিটেশন সুপারভাইজার ইউনিয়ন রেজি. প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুকেশ কুমার বৈদ বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রয়োজনীয় কোনো সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না, অন্যদিকে ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি কোম্পানিকে ঠিকাদারি দেওয়ায় পরিস্থিতি উন্নতির পরিবর্তে আরও খারাপ হয়েছে।
সিলামপুর ওয়ার্ড 225 এর এএসআই মিঃ কুমার বলেন যে আমাদের প্রতিদিন কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা সম্পর্কে ছবি এবং প্রতিবেদন পাঠাতে হয়।এই পরিস্থিতি সম্পর্কে কর্পোরেশন কমিশনার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে কয়েকবার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কেশব চৌধুরী বলেন, পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে দেশের রাজধানীর অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে অন্য জায়গার কী হবে? এই অভিযান মুখোশের মতো হয়ে গেছে। এ নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত।
What's Your Reaction?